Header Ads

১৫ কি.মি পায়ে হেঁটে কাগজপত্র সত্যায়িত এবং চরম বিপদ হতে রক্ষা । Paper Attestation and Free from Very Danger!!!


১৫ কি.মি পায়ে হেঁটে কাগজপত্র সত্যায়িত এবং চরম বিপদ হতে রক্ষা !!! Paper Attestation and Free from Very Danger!!!


১৫ কি.মি পায়ে হেঁটে কাগজপত্র সত্যায়িত এবং চরম বিপদ হতে রক্ষা !!! Paper Attestation and Free from Very Danger!!!



আমরা স্বাধীন হয়েছে প্রায় ৫০ বছর হলেও ব্রিটিশ আমল থেকে, যে কয়টি অপ্রয়োজনীয় সিস্টেম এখন পযর্ন্ত আমাদের দেশে চালু আছে সে গুলোর মধ্যে কাগজ পত্র, ছবি কিংবা অন্যান্য পত্রাদি এটেস্টেশন বা সত্যায়িত করা হচ্ছে অন্যতম একটি অপ্রয়োজনীয় পদ্ধতি।আমাদের দেশের প্রাপ্ত বয়স্ক প্রায় এমন কোন লোক নেই, যে কিনা এই কাগজ পত্র সত্যায়িত করার ঝামেলা বা বিড়ম্বনায় পড়েননি।এখন নিজে অন্যদের সত্যায়িত করে দিলেও, ঢাকা কলেজে ভর্তি হ্ওয়ার আগ মুহূর্তে আমি নিজেই অনেক কষ্ট করে সত্যায়িত করেছি আমার কাগজ পত্র এবং চরম একটি বিপদে বা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল যা  থেকে ভাগ্য  গুণে রক্ষা পেয়েছি।


আজকে সি বিষয়টিই আপনাদের সামনে তুলে ধরবো বলে, আমার আজকের জীবনের গল্পের শিরোনাম হলো প্রায় ১৫ কি.মি পায়ে হেঁটে কাগজপত্র সত্যায়িত এবং চরম বিপদ হতে রক্ষা পা্ওয়া।আমি আগের অনেক লেখায় উল্লেখ করেছি, আমাদের পরিবারের চরম দারিদ্র্যতার কথা।দারিদ্র্যতার কারনে আমরা ঠিক মত বই, খাতা কিংবা স্কুল ড্রেস বানাতে পারতাম না।কাফনের কাপড় দিয়ে স্কুলড্রেস বানিয়ে পড়েও আবার বিদ্যালয়ের যাবতীয় রেকর্ড ভেঙ্গে ফার্স্ট হয়েছি

অভাবের তাড়নায় এমন কঠিন কাজ ছিল না যা আমি করিনি।বাবা মায়ের কাজে সর্বদা সহায়তা করেছি।শুধু বাবাকে সাহায্য করার জন্যই ৩২কি.মি পায়ে হেঁটে ঢাকায় গিয়ে কুরানির গরু বিক্রি করেছি,যা আমার জন্যা একটি অনন্য রেকর্ড। জানি না, এটি হয়ত গ্রিনিচ বুকেও উঠতে পারে। দারিদ্রতার কারনে পিতা মাতার কষ্ট হবে, তাই কখনো ঈদে নতুন জামা চাইতাম না।সব জায়গায় চেষ্টা করতাম টাকা খরচ কমাতে।তাই তো, সাড়েসাত কি.মি পায়ে হেঁটে নিজ বাড়ীতে থেকেই এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি, তবে সমগ্র উপজেলাতেআবার ফার্স্টও হয়েছি !

ঢাকা কলেজে চান্স পা্ওয়ার পর, কাগজ পত্র এবং ছবি সত্যায়িত করার জন্য আবার সেই পায়ে হেঁটে নবাবগন্জ যাই।কেবলমাত্র চন্দ্রখোলার পরে, রাস্তায় পানি থাকায় বাকী টুকু নৌকায় যেতে হয়।নৌকায় এক ভদ্র লোক, খুব সাহায্যের কথা বলে।তাঁর কথা, আমার খুব ভাল লাগে।কাগজপত্র সত্যায়িত করার সময়, স্যার বেশ প্রশংসা করে এবং কিছু উপদেশ দেয় যা, আমাকে আরো অনুপ্রাণিত করে।কাগজপত্র সত্যায়িত করে, আসার সময় আমি আসি, পাতিলঝাঁপের রাস্তা দিয়ে।তখন পাতিলঝাঁপ থেকে নবাবগন্জ পযন্ত ট্রলার চলত।তো ট্রলারে, নবাবগন্জ থেকে পাতিলঝাঁপ এসে নামার পর, বাকী রাস্তা আবার আমাকে পায়ে হেঁটে বাড়ীতে আসতে হয়।

বাড়ীতে আসার সময়, চকোরিয়া আসার কাছা কাছি এসেই, আমাকে সেই খারাপ পরিস্থিতির সামনে পড়তে হয়।আপনারা হয়ত ভাবতে পারেন, এটি আবার কিসের বিপদ।কিন্তু ঢাকা কলেজে ভর্তি হ্ওয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে, আমার কাছে এমন ঘটনাটি-ই বিশাল বড় বিপদ মনে হয়েছে।কারন আমি নিশ্চিত, সেই দিন যদি আমি সেই বিপদ হতে উদ্ধার না পেতাম, তাহলে হয়ত আমার আর ঢাকা কলেজে পড়া হতো না এবং ঢাকা কলেজে না পড়লে আমি তাহের হলফ করে, বলতে পারি কোন দিনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেতাম না এবং আপনাদের সামনে জীবন থেকে নেয়া এমন ঘটনাও শেয়ার করতে পারতাম না।

তো চকোরিয়া গ্রামে আসার পর, আমার ফাইল হতে যে, সত্যায়িত করা ছবির প্যাকেটটি পড়ে গেছে তা, আমি টেরই পাইনি।আমি একশ-দেড়শ গজ চলে এসেছি।পাশে এক ভদ্র মহিলা ধান উড়াচ্ছিল।ভাগ্য ভাল আমার, ছবি গুলো তার পাশে পড়েছিল।তো তিনি তা দেখে, আমাকে জোরে ডাক দিয়ে বল্লেন, এই ছেলে তুমি কিছু ফেলে যাচ্ছ তো? তখন আমি আবার হন্যে হয়ে সেখানে যাই এবং ছবি গুলো তুলে বড় হাই তুলে বলি, ইস্স।কি বিপদেই না পড়তে ছিলাম।যদি ছবি গুলো ঐ ভদ্র মহিলার সামনে না পড়ে একটু সামনে বা পিছনে পড়তো, তাহলেই তো আমার ঢাকা কলেজে পড়া বা এ পর্যন্ত আসা কখনোই সম্ভব হতো না!!

আপনাদের কাছে এটি বিপদ না মনে হতে পারে বা এখন এটি আমার কাছে হয়তো কিছু নয় কিন্তু ১৫-১৬ বছর বয়সে, যখন পরের দিন আবার আমার স্বপ্নের কলেজে ভর্তি হবো!সেটি আসলে কত বড় বিপদ!! আপনি ছাত্র না হলে সেটি অনুভব করতে পারবেন না।যাক, পুরো ঘটনাটি আমার এই ভিডিওতে পাবেন, বলে আর লিখলাম না।




সকলে ভাল থাকবে। করোনা কলে জরুরী স্বাস্থ্যবিষয়ক টিপস মেনে চলবেন।তাতে সুস্থ্য থাকতে সহজ হবে।তবে সু-খবর খবর হচ্ছে, করোনার ভ্যাকসিন খুব দ্রুত চলে আসতেছে।আসলে এই সময়ে, সময় পার করাই অনেক কষ্টের ব্যাপার। কারন ঘরে বসে থাকতে থাকতে আর কত ভাল লাগে।তাই চাইলে ২০২০ সালে অনলাইন আয়ের সহজ পদ্ধতি গুলো জেনে নিতে পারেন। আবার চাইলে, আপনারা ঘরে বসেই, ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কিভাবে করতে হয় তা্ও শিখে, অনলাইনে আয় করতে পারেন।শিখতে কোন সমস্যা হলে, আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।আমি আপনাদের সবার্ত্বক সাহায্য করবো।

আমাদেরসম্পর্কে জানতে চাইলে, যোগাযোগ করতে পারবেন খুব সহজেই । আমার ব্যক্তিগত ই-মেইলটি আমাদের যোগাযোগ সেকশনে দেয়া আছে।যদি আমার জীবন থেকে নেয়া কোন ঘটনা আপনার অবিশ্বাস্য মনে হয়, তাহলে আপনি সরাসরি আমাকে মেইল মেইল করুন।আমি আপনার প্রশ্নের জবাব দিব।এছাড়া আপনার যদি, আমাদের দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানের সাথে শামিল হতে চান, তাহলে আমাদের ফেস বুক গ্রুপে যোগদান করতে পারেন এবং আমাদের ফেসুবক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকতে পারেন, যা যোগাযোগ সেকশনে দেয়া আছে।ধন্যবাদ, পাশে থাকার জন্য।

No comments

Powered by Blogger.