প্রাকৃতিক নিয়মে ত্বক ফর্সা করার কিছু সিক্রেট ঘরোয়া টিপস | Prakritik Niyome Tok Forsa Korar Tips
মানুষ সুন্দরের পূজারী।সুন্দরকে ভালবাসে না পৃথিবীতে এমন কাউকে খুঁজে পা্ওয়া যাবে না।সৌন্দর্য আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর।তাই সবাই চায় নিজেকে আরও সুন্দর করে সবার সামনে তুলে ধরতে।যদিও ফর্সা মানেই কিন্তু সুন্দন নয়।তারপরও আমরা সবাই চাই, আমাদের ত্বকটি আরও ফর্সা ও উজ্জ্বল হোক। মনে মনে কিন্ত সকলেরই এই ইচ্ছাটি থাকে। আর তাই ত্বক ফর্সা করার ঔষধ হিসেবে আমরা বাজার থেকে অনেক প্যাক ক্রিম এনে ব্যবহার করি ত্বককে আরও ফর্সাও উজ্জ্বল করার জন্যে। কিন্তু বাজার থেকে আানা বেশির ভাগ ক্রিমেই উচ্চ মাত্রার রাসায়নিক পদার্থ থাকে।ফলে ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল হ্ওয়া তো দূরে থাক, উল্টো ত্বকের আরও ক্ষতি করে থাকে।
আরও
পড়তে
পারেন:
- কাফনের কাপড় দিয়ে স্কুল ড্রেস বানিয়ে পড়া ছেলেটি বিদ্যালয়ের পূর্বের সকল রেকর্ড ভেংঙ্গে সবোর্চ্চ নম্বর, সর্বোচ্চ লেটার নিয়ে মেট্রিক পাস!!!
- চতুর্থ শ্রেণীতে ধর্মে ফেল কিন্তু দশম শ্রেণীতে প্রথম!!!
- ৫ম শ্রেনীর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণে অযোগ্য ছেলেটি ৮ম শ্রেনীর জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে বৃত্তি পায়!!!
১) গুঁড়া দুধ, মধু ও লেবুর রসের হোয়াইটেনিং ফেইস প্যাক:
২) দুধ ও শুকনো কমলার খোসা:
শুকনো
কমলার
খোসা
ত্বকের
জন্যে
খুবই
উপকারী। বিশেষ
করে
কমলার
শুকনো
খোসা
ত্বকের
ময়লা
পরিস্কার করে
এবং
ত্বকের
কালচে ভাব দূর করে।
প্রথমে
কমলার
খোসা
রোদে
ভাল
মত শুকিয়ে মিহি করে
একটি
পাত্রে
সংরক্ষণ করতে
হবে।এরপর ৪
চামচ
শুকনো
কমলার
খোসার
গুঁড়া
নিয়ে
তার
সাথে
দুধ
মিশিয়ে
ভাল
করে
পেস্ট
বানিয়ে
নিতে
হবে।পেস্টটি হাতে
ও
পায়ে
ভাল
মত
লাগিয়ে
২০
মিনিট
রেখে
দিন।
এরপর
পরিস্কার পানি
দিয়ে
ধুয়ে
ফেলুন।
৩) টক দই আর ওট মিলের স্কিন হোয়াইটেনিং
মাস্ক:
সারা
রাত
এক
টেবিল
চামচ
ওট
মিল
ভাল
মত
ভিজিয়ে
রেখে
সকালে
এটি
পেস্ট
করতে
হবে।এরপর এক
টেবিল
চামচ
টক
দই
ভাল
করে
মিশিয়ে
মাস্ক
তৈরি
করে
তারপর
ব্যবহার করুন।
এটি
নিয়মিত
ব্যবহার করলে
আপনি
অবশ্যই
ভাল
ফলাফল
পাবেন।তবে এই
মাস্ক
ড্রাই
টু
নরমাল
ত্বকের
ক্ষেত্রে সবচেয়ে
বেশি
উপযোগী।
আরও
পড়ে
নিন:
- আলু দিয়ে ঝটপট গরুর মাংস রান্না
- করোনাকালীন সময়ে জরুরী কিছু স্বাস্থ্য টিপস
- ২০২০ সালে অনলাইন আয়ের সহজ পদ্ধতি
৪) টমেটোর
রসের সাথে চন্দনের গুঁড়া আর হলুদের মিক্স:
টমেটোর
রসে
প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান
আছে।আবার ত্বকের
যত্নে
তো
হলুদের
কোন
জুড়ি
নেই,
তা
আমরা
সবাই
জানি।স্কিন থেকে
বয়সের
দাগ,
রোদের
পোড়া
দাগ
এবং
ব্রণের
দাগ
দূর
করতে
হলুদ
অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা
পালন
করে
থাকে
এটি।
অন্যদিকে চন্দনের গুঁড়া
ত্বকের
ময়লা
দূর
করতে
এবং
ত্বককে
ফর্সা
করতে
বেশ
সাহায্য করে।প্রথমে ২
টেবিল
চামচ
টমেটোর
রস,
১
চামচ
হলুদের
গুঁড়া
এবং
২
টেবিল
চামচ
চন্দনের গুঁড়া
ভাল
করে
গোলাপ
জলের
সাথে
মিশিয়ে
নিতে
হবে।এরপর মাস্ক
তৈরি
করে
হাতে
পায়ে
ভাল
করে
লাগিয়ে
২০
মিনিট
পর
ধূয়ে
ফেলতে
হবে।সপ্তাহে ২
বার
লাগালে
আপনি
এই
মাস্ক
হতে
বেশ
ভাল
ফলাফল
পাবেন।
৫) কলার ফেইস প্যাক:
সান টান দূর করে ত্বক ফর্সা করতে কলার ফেইস প্যাক অত্যন্ত কার্যকরী।একটি পাত্রে পরিমান মত কলা,১ চা চামচ মধু আর ১ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে এটি তৈরি করা যায়।এই ফেইস প্যাকটি সব ধরনের স্কিনের সাথেই মানানসই।
৬) আমন্ড ফেইস প্যাক:
৪-৫টি আমন্ড সারারাত ভাল মত ভিজিয়ে রেখে সকালে গুঁড়া করে পেস্ট তৈরি করে সাথে বাটার মিল্ক বা দুধের সর মিশিয়ে এই প্যাক তৈরি করতে হবে। ১০-১৫ মিনিট এই প্যাক স্কিনে রেখে,কিছুক্ষণ স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলুন।এই প্যাক শুধু উজ্জ্বলই করে না, এটি ত্বককে নরম করে, ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করে তুলে।তবে আপনি যদি দুধের সর ব্যাবহার করতে না চান সে ক্ষেত্রে টক দই কিংবা মধুও ব্যবহার করতে পারেন।
৭) বেসনের
প্যাক:
বেসন সব সময়ই আমাদের স্কিনকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে থাকে।বেসনের সাথে বাটার মিল্ক মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে তারপর ত্বকে লাগাতে হবে।যখন শুকিয়ে যাবে, তখন ঠান্ডা পানি দিয়ে ধূয়ে ফেলতে হবে।তবে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে যে, তৈলাক্ত স্কিনে কিন্তু কোন বেসনের প্যাক ব্যবহার করা যাবে না।
৮) পুদিনা
পাতার ফেইস প্যাক:
পুদিনা
পাতায়
প্রচুর
পরিমানে অ্যাসট্রিজেন্ট থাকে,
যা
ত্বকে
পুষ্টি
যোগানোর পাশাপাশি ত্বককে
উজ্জ্বল করতে
সাহায্য করে।সাধারণত ১৫-২০টি পুদিনা পাতা
পেস্ট
করে
মুখে
লাগাতে
হবে
এবং
১০-১২ মিনিট পরে
ধূয়ে
ফেলতে
হবে।এটি ত্বকের
ছোট
ছোট
পোর
ঢেকে
দিবে
এবং
ত্বককে
টান
টান
করবে।পুদিনা পাতায়
অ্যালার্জি আছে,
তাই
যাদের
অ্যালার্জির সমস্যা
আছে,
তারা
এটি
ব্যবহার থেকে
দূরে
থাকবেন।
৯) চন্দনের
ফেইস প্যাক:
ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে চন্দনের গুঁড়ার সাথে পানি মিশিয়ে তারপর মুখে লাগাতে হবে।এতে আপনার ত্বক পাকৃতিক ভাবেই ফর্সা হবে।চন্দনের প্যাক শুধু ত্বককেই উজ্জ্বল করে না পাশাপাশি দেখতেও অনেক ফ্রেশ লাগাবে।
১০) আলুর খোসার ফেইস প্যাক:
আলুর খোসায়্ও প্রচুর পরিমানে ব্লিচিং উপাদান আছে।আলুর খোসার পেস্ট নিয়মিত লাগালে ত্বক উজ্জ্বল ও ফ্রেশ হয়। সব ধরনের স্কিনেই এই আলুর খোসার প্যাক ব্যবহার করা যায়।
আপনারা
খুব
সহজেই
প্রাকৃতিক নিয়মে
ত্বক
ফর্সা
করার
কিছু
সিক্রেট ঘরোয়া
টিপস
জেনে
গেলেন।এখন উপরোক্ত টিপস
গুলোর
মধ্যে
যেটি
আপনার
জন্য
সহজ
এবং
ত্বকের
সাথে
পারফেক্ট ম্যাচ
করে,
সেটি
ব্যবহার করে
নিজেকে
আগের
চেয়ে
আরও
সুন্দর
ও
স্মার্ট ভাবে
উপস্থাপন করুন।
দেখে
নিন:
- ৩২কি.মি পায়ে হেঁটে ঢাকায় কুরবানির গরু বিক্রি
- আমার স্ব-চোখে ভূত দেখা।
- সাড়ে সাত কি.মি. পায়ে হেঁটে এসএসসি পরীক্ষা দেয়া ছেলেটি সমগ্র উপজেলায় ফার্স্ট
ছবি সংগ্রহ: রকেট.সাজগোজ.কম, বাংলাট্রিবিউন.কম, বিউটিটিপসরাজ.ব্লগস্পট.কম, জেটিভি২৪বিডি.কম, রূপকথন.কম।
No comments