আমার স্ব-চোখে ভূত দেখা।১০০% সত্য ঘটনা
ভূত,
পেত্নী, শয়তান কিংবা জ্বীন, পরি নিয়ে আমাদের দেশে নানা ধরনের মুখরোচক গল্প বা কাহিনী চালু
আছে সেই অনেক দিন আগে থেকেই। ভূতের বাড়ী কিংবা ভূতের বাতির কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি
। এগুলোকে কেউ
কেউ বিশ্বাস করে, আবার কেউ কেউ বলে ভূয়া। কারন তাদের মতে, এই পৃথিবীতে ভূত,
পেত্নী, শয়তান কিংবা জ্বীন, পরি বলতে কিছু নেই।বিশেষ করে বিজ্ঞান এই ব্যাপারে খুবই
স্পষ্ট যে, এই পৃথিবীতে ভূত,
পেত্নী, শয়তান কিংবা জ্বীন, পরি বলতে আসলেই কিছু নেই।তাহলে আমার প্রশ্ন, আমার ভাইয়ের ক্ষেত্রে যা ঘটল বিজ্ঞান
তা কিভাবে ব্যাখা করবে?
আমরা
জানি বিচিত্র এ সংসার জীবনে
নানান রকমের মানুষ দেখা যায়।আবার নানান রংয়ের মানুষের আচার আচরণ কিংবা জীবন ধারণ্ও এক রকম নয়।আবার
জন্মগত ভা্বেও এক নয়।আসলে মানুষের
জীবন থেকে নেয়া বিভিন্ন ঘটনাবলী থেকে তা জানা যায়
মানুষের প্রকৃত ইতিহাস।এরকম
একটি জীবনের গল্পই হলো আমার এই সরাসরি সামনে
থেকে দেখা ভূতের এই ঘটনাটি।
আপনি যদি স্বাস্থ সচেতন হন, পড়ুন:
আসলে
আমাদের আর্থিক অবস্থা ছিল
খুবই খারাপ।আমরা তিন বেলা ঠিকমত খেতে পারতাম না। আমাদের আয়ের পথ সীমিত থাকায়,
আমি এবং আমার ভাই প্রতি শুক্রবার এবং ছুটির দিনে অন্যের জমিতে দিন মজুরী খাটতাম । আর্থিক অবস্থা এতোটাই
খারাপ ছিল যে, ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে আমার বাবা একবার আমাকে কাফনের কাপড় দিয়ে স্কুল ড্রেসের শার্ট বানিয়ে দিয়ে ছিল।সেই স্কুল ড্রেস পড়েই আমাকে ক্লাশ করতে হয়েছে।টাকার অভাবে এসএসসি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার
কেন্দ্রের আশে পাশে বাসা ভাড়া নিতে পারিনি বলে, নিজ বাড়ী থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিতে হয়েছ।সেই সাড়ে সাত কি.মি পায়েহেঁটে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েও আবার সমগ্র উপজেলায় ফার্স্ট হয়েছি।যাই হোক, এসব ঘটনা নিশ্চয়ই আপনারা
এই ব্লগের অন্যান্য পেইজে পড়েছেন।না পড়লে পড়ে নেয়ার অনুরোধ করছি । সেখানে এমন কিছু
ঘটনা পাবেন, যা আপনার জীবনে নতুন কিছুর অভিজ্ঞতা দিবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তো এমনই
একদিন স্কুল ছুটির
দিনে, ভাইয়া গেছে অন্যের জমিতে দিন মজুরী খাটতে।এরই মধ্যে সন্ধ্যা প্রায় ঘনিয়ে আসছে কিন্তু ভাইয়া তখনো কাজ শেষ করে না আসায় মা
চিন্তিত হয়ে আমাকে বললেন যে, এই তোর ভাই
কেন আসে না? চল তো ,আমরা
একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি, তোর ভাই আসছে কি না? এই
কথা মা বলার পড়ে, আমি এবং আমার মা, আমাদের বাড়ীর দক্ষিন পশ্চিম পাশের যে রাস্তা সেখানে
গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তো একটু পড়ে দেখতে পেলাম, আমার ভাই পশ্চিম দিক দিয়ে আসতেছে।মা ভাইয়া
কে দেখে বলল যে, অই তো মেহের আলী আসতেছে।তো তখন আমিও তাকালাম এবং দেখলাম যে, ভাই আসতেছে।
ভাই আমাদের
বাড়ীর পাশের যে জমিটি, ঠিক তার আগের জমিটি পর্যন্ত ঠিকমতই আসতে ছিল কিন্তু যেই ভাই
সেই জমিটি ক্রস করে,তারপরই ঘটে সেই ভয়ানক ঘটনাটি ! এরপর ভাই আর জমির আইলের উপর দিয়ে
না এসে হঠাৎ করে জমির ভিতর দিয়ে আড়া আড়ি এসে
আমাদের বাড়ীতে ঢোকার রাস্তা দিয়ে না এসে সে, আমাদের বাড়ীর পশ্চিম পাশে যে কলা গাছের
ঝোঁপ তার ভিতর দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে।তখন আমি এবং আমার মা, ভাইকে অনেক জোড় করে বাহিরের
দিকে আনার চেষ্টা করি। কিন্তু কোন অবস্থাতেই তা করতে পারছিলাম না।তখন আমাদের টানা টানির
শব্দে আমার সেঁজো কাকি এবং ছোট কাকিও এগিয়ে
আসে।বাকী যে মজার ঘটনা ঘটল তার বিস্তারিত পাশের ভিডিওতে দেয়া আছে।
আরও পড়তে
পারেন:
- ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে কি কি প্রয়োজন? কি কি কাজ এখানে করা যায়?
- ২০২০ সালে অনলাইন আয়ের সহজ পদ্ধতি
- করোনাকালীন সময়ে জরুরী কিছু স্বাস্থ্য টিপস
প্রিয় পাঠক
বৃন্দ, আপনারা তো মূল ঘটনাটি জানলেন।এখন যারা ভূত,
পেত্ন, জ্বিন, পরীকে বিশ্বাস
করেন । তাদের ক্ষেত্রে আমার কোন
আপত্তি নেই, কারন আমি নিজেও তা বিশ্বাস করি।কিন্তু আমার কথা হলো তাদেরকে নিয়ে, যারা
ভূত, পেত্ন, জ্বিন বা পরীকে বিশাস করেন না ।যদিও
ঐ দিন ঘটনাটি আসলে কি ঘটে ছিল, সেই ব্যাপারে আমার ভাইকে আমি অনেক বার প্রশ্ন করেছি
কিন্তু কোন বারই কোন উত্তর পাইনি।তো, আপনারা যারা বিশ্বাস করেন না, তারা দয়া করে আমার
প্রশ্নের জবাব দিবেন। যদি সত্যিই এই পৃথিবীতে ভূত, পেত্ন, জ্বিন, পরী না থেকে থাকে, তাহলে হঠাৎ করে এমন কি ঘটল যে, সে কোন রকম
কারন ছাড়াই রাস্তার পরিবর্তে
জমির ভিতর দিয়ে আড়া আড়ি কলা গাছের ভিতর দিয়ে ঢুকে গেল?
আশাকরি, আপনারা
ভিডিও নিচে কমেন্ট করে অথবা এই ব্লগের কমেন্ট সেকশনে এই বিষয়টি অবশ্যই জানাবেন ।যেহেতু
আমার উল্লেখ করা ঘটনাটি আমার নিজ চোখের সামনেই ঘটেছে,অতএব এটিকে আর ভূয়া বলার সুযোগ
নেই এবং এই ঘটনার পরে থেকেই আমি কিন্তু ভূত, পেত্ন, জ্বিন, পরী বলে এই পৃথিবীতে কোন
জিনিস আছে বলে বিশ্বাস করি।। আপনাদের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকলাম।ধন্যবাদ, কষ্ট করে
সত্যি ঘটনাটি পড়ার জন্যে।
রান্না করতে ভাল লাগলে, পড়ুন:
No comments