করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্ব নেতাদের লম্ফ ঝম্ফ, রাজনৈতিক ফায়দা এবং সর্বশেষ আপডেট। Corona Vaccine Latest Update.
করোনা ভাইরাস
আমাদের বর্তমান বিশ্ব কে যে একে বারে থমকে দিয়েছে তাতে কারও বিন্দু মাত্র সন্দেহ নেই।
শুধু তা-ই নয়,অনেকে তো নিজের জীবন রক্ষার্থে ঘর হতে বের হ্ওয়াই বন্ধ করে দিয়েছেন। কেবলমাত্র
বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ঠিক, তত টুকুই বের হচ্ছেন।করোনা ভাইরাস এতটাই ভয়ানক
যে, সারা বিশ্বের কর্মকান্ডকে স্থবির করে দিয়েছে।অর্থনৈতিক কর্মকান্ড তো দূরে থাক,
মানুষের জীবন রক্ষাই তো কঠিন হয়ে পড়েছে।
মানুষের জীবন
রক্ষার্থে যে যার মত করে কাজ করে গেলেও করোনা থেকে স্থায়ী ভাবে মুক্তির জন্য কার্যকরী
ভ্যাকসিন ছাড়া কিন্তু কোন উপায় নেই। আর তাই একটি কাযকরী ভ্যাকসিনের জন্য সারা পৃথিবী
হন্যে হয়ে কাজ করছে। বিশ্বের বাঘা বাঘা শক্তির দেশগুলো ইতোমধ্যে নিজেদের মধ্যে পাল্লা
দিয়ে কাজ করছে।মনে হচ্ছে যেন, একটি কার্যকরী করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের আবিষ্কার যতটা
না নিজেদের দেশের মানুষের জীবন রক্ষার্থে ,তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার জন্যে।
আর ্ও পড়তে পারেন:
- কাফনের কাপড় দিয়ে স্কুল ড্রেস বানিয়ে পড়া ছেলেটি বিদ্যালয়ের পূর্বের সকল রেকর্ড ভেংঙ্গে সবোর্চ্চ নম্বর, সর্বোচ্চ লেটার নিয়ে মেট্রিক পাস!!!
- ৫ম শ্রেনীর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণে অযোগ্য ছেলেটি ৮ম শ্রেনীর জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে বৃত্তি পায়!!!
- চতুর্থ শ্রেণীতে ধর্মে ফেল কিন্তু দশম শ্রেণীতে প্রথম!!!
এটি আরও বেশি
স্পষ্ট হয়ে উঠে যখন আমরা বিশ্ব নেতাদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য শুনি।অনেক
সময় এমন ধরনের বক্তব্য শুনি যে, মনে হয় যেন করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন একে বারে হাতের
নাগালে । শুধু মাত্র প্রয়োগের ধাপটিই বাকী। কিন্তু প্রকৃত বাস্তবতা কি আসলেই তাই। নাকি
সব কিছুই কেবল মাত্র রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্যে লম্ফ ঝম্পেই সাড়।আমরা আজ, সে বিষয়টি
নিয়েই কথা বলব।আশা করি, আপনারা আমাদের সাথেই থাকবেন।
করোনা ভাইরাস
যদিও চীনের উহান শহরে প্রথম দেখা দেয় ২০১৯
এর ১৭ই নভেম্বর ৫৫ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তির আক্রান্তের মধ্য দিয়ে।প্রথম দিকে এটির
সীমানা কেবলমাত্র চীনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও তা পরবর্তীতে দ্রুত সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে
পড়ে।যেহেতু চীনে এই ভাইরাস সর্বপ্রথম দেখা দেয়, তাই স্বভাবতই চীন এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে
এগিয়ে থাকবে, অনেকে তা-ই প্রত্যাশা করেছে।চীন সেটা দাবীও করে চলেছে ।কিন্তু বলা যত
সহজ করা তত সহজ নয়।জাতিসংঘের ২০শে জুলাইয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী। বিশ্বের বিভিন্ন
দেশ মিলিয়ে, এ পর্যন্ত প্রায় ১৭৩ টি উদ্যোগ চলমান, করোনা ভাইরাস এর ভ্যাকসিন উৎপাদনের
ক্ষেত্রে।এর মধ্যে কয়েকটি অবশ্য ইতিমধ্যে মানুষের মাঝে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে।
ভাইরাসের
ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যতই লম্ফ ঝম্ফ ছাড়ুক না কেন, প্রকৃত
ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে এখন পযন্ত সমগ্র বিশ্ব সবচেয়ে বেশী আত্ববিশ্বাসের দিকে তাকিয়ে
আছে ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের দিকে।কারন বিশ্ববাসী, বিশ্ব
নেতাদের কথার ফুলঝুড়িতে আস্থা রাখতে পারছেন না। ইন্ডিয়া ইতিমধ্যে ইংল্যান্ডের সাথে
চুক্তি সম্পন্ন করেছে।অক্সফোর্ডের উৎপাদিত ভ্যাকসিন ইংল্যান্ডের পর তারাই সর্বপ্রথম
পাবে।ভারতীয়দের
জন্য এই ভ্যাকসিনকে নিশ্চিত করার জন্য ভারতের পুনের ভ্যাকসিন উৎপাদন কারী সংস্থা সেরাম
ইন্সটিউট অফ ইন্ডিয়া (SSI) ইতিমধ্যেই ওই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল করার জন্য ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ
ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে।
দেখে নিতে পারেন:
- আলু দিয়ে ঝটপট গরুর মাংস রান্না
- গরম দুধে নরম কেক রেসিপি
- মজাদার দেশীয় স্টাইলে ভেজিটেবল এগ নুডুলস রেসিপি
- রেস্টুরেন্ট স্টাইলে তৈরি চিকেন ফ্রাইড রাইস
অক্সফোর্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের উৎপাদিত ভ্যাকসিন পা্ওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।সম্প্রতি তাঁরা সুইডিস-ব্রিটিশ ওষুধ সংস্থা AstraZeneca এর
সাথে একটি চুক্তিও করেছে। করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি বড় ধাক্কা খা্ওয়া ইতালিও হঠাৎ
করে এক বার ঘোষণা দিয়েছিল যে, তারাও করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেও ফেলেছে।যদিও তাদের
ভ্যাকসিনের সর্বশেষ খবর কি তা আর জানা যায়নি।
অবশ্য বিশ্বের
সবচেয়ে ঘন বসতির দেশ আমাদের বাংলাদেশও কিন্তু একে বারে পিছিয়ে নেই।কিছু দিন আগে গ্লোব
বায়োটিক কোম্পানি হুট করেই ঘোষনা দেন, যে তারা কোভিত ১৯ এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলেছে।যদিও
এর আগে এপ্রিলের প্রথম দিকে ঘোষণা দিয়ে ছিল যে, তারা করোনা পরীক্ষার কিট আবিস্কার করেছে,
কিন্তু পরে তার নেগিটিভ ফিডব্যাক আসার পরে, এ ব্যাপারে গ্লোব বায়োটিক কোম্পানি গনমাধ্যমে
আর কোন তথ্য দেয়নি।
ভ্যাকসিন
আবিস্কারের ক্ষেত্রেও গ্লোবের ভূমিকা ঠিক কিট আবিস্কারের মতই।তারা যথাযথ প্রক্রিয়া
অবলম্বন না করেই ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন, ভ্যাকসিন আবিস্কারের।ভ্যাকসিন আবিস্কারের বেশ
কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে কিন্তু আমাদের দেশের গ্লোব বায়োটিক কোম্পানি তার কোনটিই মানেনি।তারা
কেবলমাত্র ইনিশ্যাল ট্রায়াল করেই ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন যে, তারা কোভিড ১৯ এর প্রতিষেধক
অর্থাৎ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিস্কার করে ফেলেছে।যদি গ্লোব বায়োটিক কোম্পানির দাবি
সত্যি হয়, তাহলে এই মুহূর্তে বিশ্বে প্রায় শতাধিক কোম্পানির ভ্যাকসিন চুড়ান্ত প্রয়োগের
যোগ্য।
কিন্তু অত্যন্ত
দু:খের বিষয় হচ্ছে, এক্ষেত্রে আমাদের দেশের হলুদ সাংবাদিকতাই বেশি দায়ী।শুধুমাত্র পত্রিকার
কাটতি বাড়ানো কিংবা ফেসবুকে লাইক বাড়ানো অথবা ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর জন্য্ও
এসব তথ্য অত্যন্ত ফলাও করে প্রচার করে থাকে।তারা এর সত্যতা কিংবা কোন ভ্যাকসিন উৎপাদনের
যে, ধাপ কিংবা প্রক্রিয়া তা না জেনে অথবা না জানার ভান করে প্রচার করে থাকে।কিন্তু
এতে যে, দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট হয়, তার দিকে তাদের বিন্দু মাত্র কর্ণপাত নেই।
রূপচর্চ্চা:
তবে প্রশ্ন
হলো, যে দেশে সবচেয়ে দ্রুত এবং সবচেয়ে জরুরী(বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ), সেই
বাংলাদেশের করোনা ভাইরাসের টীকার কি হবে? বাংলাদেশ কি আদৌ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের
টীকা পাবে বা পেলে তা কিভাবে পাবে? বাংলাদেশের করোনা ভাইরাসের টীকা নিয়েও আছে আঞ্চলিক
এবং আর্ন্তজাতিক রাজনীতি ও স্বার্থের দ্বন্ধ।পাশাপাশি দুই দেশ চীন ও ভারত বাংলাদেশের
বাজার সহ অভন্তরীণ বিষয়ে যে খুব বেশিই নাক গলায়, তা আমরা বহু বার দেখেছে।করোনা ভাইরাসের
টীকার ব্যাপারটিও ইতিমধ্যে এই রাজনীতির মধ্যে ঢুকে গেছে ! কিছু দিন আগে, চীনা প্রতিনিধিদের
সাথে কথা বলার পর, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে ছিলেন যে, চীনের আবিস্কৃত
করোনা ভ্যাকসিনের টীকার তৃতীয় ট্রায়াল বাংলাদেশেও হবে।যদিও তা কিভাবে হবে, কখন হবে,
এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
অপরদিকে ভারতের
পররাস্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে প্রথমেই উচ্চারণ করেছেন
যে, ভারতের করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম অগ্রাধিকার হবে বাংলাদেশ।সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি,
বাংলাদেশে করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষেত্রে চীন কিংবা ভারত উভয়েরই প্রবল আগ্রহ আছে।এখন
দেখার বিষয়, এটি কি আসলেই বন্ধুত্বের খাতিরে নাকি বিশ্বের সবচেয়ে ঘন বসতিপূর্ণ দেশ
বাংলাদেশের জনগণের কাছে করোনা ভ্যাকসিন বিক্রির নামে ব্যবসা করা।কারন উভয় দেশই যত বন্ধুত্বের
কথাই বলুক না কেন, তাদের মূল লক্ষ্য কিন্তু ব্যবসা করা।তা আমরা অতীত ইতিহাস থেকে খুব
ভাল করেই জানি।তবে বন্ধুত্ব হোক বা ব্যবসা-ই হোক, বাংলাদেশ যেন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের
ভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন পায় এটিই আমাদের মূল চা্ওয়া।
করোনা ভাইরাসের
ভ্যাকসিন আবিস্কারের দিক দিয়ে জাপানও অবশ্য পিছিয়ে নেই। জাপানের ওষুধ প্রস্তুতকারী
প্রতিষ্ঠান অ্যানজেস ইনকর্পোরেট দাবি করেছে, তারা এবং তাদের ব্যবসায়িক অংশীদার ওসাকা
ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষার ভ্যাকসিন আবিস্কার করেছে।তারা স্বল্প
সময়ের মধ্যে এটি প্রাণীর উপর পরীক্ষা করা হবে বলে দাবি করেছিল এবং তারা এও বলেছে যে,
তাদের আবিস্কৃত টীকা পেতে প্রায় বছর দেড়েক লেগে যেতে পারে।
সময়ের ব্যাপারে
যে যাই বলুক না কেন, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যে করোনার ভ্যাকসিনের ব্যাপরে উঠে পড়ে লেগেছে,
তাতে কোন সন্দেহ নেই।আমরা জানি সকল ভ্যাকসিন কেই একটি নিদিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে
যেতে হয়।প্রথমে প্রাণীর উপর পরীক্ষা করা হয়।এটিকে এনিমেল ট্রায়াল বলে ।এখানে বানর অথবা
ইঁদুরের মধ্যে প্রয়োগ করে, দেখা হয় যে, তাতে এন্টিবডি গ্রো করে কি না। যদি এনিমেল ট্রায়ালে
উত্তীর্ণ হয় তারপর শুরু হয় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ।
ক্লিনিক্যাল
টায়ালের আবার তিনটি ফেজ রয়েছে।ফেজ-১ এ সীমিত আকারে স্বেচ্চাসেবীদের মধ্যে প্রয়োগ করা
হয়।এর মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয় যে, মানুষের মধ্যে তৈরিকৃত ভ্যাকসিনটি এন্টিবডি তৈরি
করতে পারে কি না।যদি ফেজ-১ এ কার্যকর হয়, তাহলে ফেজ-২ শুরু করা হয় এবং এখানে প্রায়
শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে প্রয়োগ করে,পরীক্ষা করা হয় যে, উৎপাদিত ভ্যাকসিনের
কার্যকারিতা কতদূর, পাশাপাশি কোন পাশ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না।এখানে বিভিন্ন বয়সের পাশাপাশি,
শিশু এবং বয়স্কদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।যদি ফেজ-২ অতিক্রম করে, তাহলে ফেজ-৩ এ পরীক্ষা
করা হয়।এখানে ব্যাপক আকারে প্রায় ত্রিশ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে এই ট্রায়ালের অন্তর্ভুক্ত
করা হয়।ফেজ-৩ এ যদি উৎপাদিত ভ্যাকসিন কার্যকর থাকে, কেবলমাত্র তখনই কোন একটি দেশের
ঔষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান উক্ত ভ্যাকসিন কে অনুমোদন করে থাকে।
এটিই হলো
কোন ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রস্তুতের স্বাভাবিক এবং গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া।অনেক প্রতিষ্ঠান
সে ভাবেই এগোচ্ছে।কিন্তু করোনা ভাইরাসের যে, ভয়াবহতা, তাতে অনেক দেশ আবার এত ধৈর্য্য
দেখাতে চাচ্ছে না বা পারছে না।এমনই ঘটেছে রাশিয়া এবং চীনের ক্ষেত্রে।তারা ক্লিনিক্যাল
ট্রায়াল -৩ কে বাদ দিয়েই বলা যায়, এক রকম জোর করেই, নিয়ম বদলিয়ে ভ্যাকসিন উৎপাদনের
অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে।
অনলাইনে আয় করুন:
- ২০২০ সালে অনলাইন আয়ের সহজ পদ্ধতি
- ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে কি কি প্রয়োজন? কি কি কাজ এখানে করা যায়?
- ফ্রিল্যান্সিং কেন এতো আলোচিত? অজানা তথ্য
চীনা প্রতিষ্ঠান
কানসিনো, তারা দেশের মিলিটেরি মেডিকেল সাইন্সের সাথে একত্রে এ্যাড৫ ভ্যাকসিন আবিস্কার
করেছে। এটিকে সীমিত আকারে প্রয়োগের চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।যদিও চীন সম্প্রতি তুরস্ক,
পাকিস্তান, ব্রাজিলে এর ফেজ-৩ শুরু করেছে।তারা বাংলাদেশেও এর ক্লিনিক্যাল টায়াল শুরু
করবে বলে শুনা যাচ্ছে, যদিও বাংলাদেশ এ ব্যাপারে আদৌ কত টুকু প্রস্তুত সে ব্যাপারে
প্রশ্ন আছে।
একই রকম ঘটনা
ঘটেছে রাশিয়াতে।রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অন্তভুক্ত দি গামালেয়া গবেষণা প্রতিষ্ঠান
জুনের প্রথম দিকে গ্যাম কভিড ভ্যাক লিও নামে একটি ভ্যাকসিন এর ফেজ-১ শুরু করে।এটি হচ্ছে
মূলত: এ্যাড-৫ এবং এ্যাড-২৬ এর সমন্বয়।এরই মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
ঘোষনা দেন যে, রাশিয়ার হেল্থ কেয়ার বডি, পুন:নাম স্পুটনিক-৫ কে চুড়ান্ত প্রয়োগের জন্য অনুমোদন দিয়েছে এবং পুতিনের
এক মেয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ভ্যাকসিন গ্রহণও করেছে। যদিও অনেক ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞরা
বলেছেন, এ ধরনের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত খুবই ভয়ান্ক এবং বিপদ্জনক হতে পারে।
অক্সফোর্ড
বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটিশ-সুইডিশ কোম্পানির সমন্বয়ে উৎপাদিত ভ্যাকসিনটি ১/২ ফেজের
মধ্যে রয়েছে।এদের উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ফেজ-৩ ইংল্যান্ড, ভারত, ব্রাজিল, সৌদি আরবিয়া
এবং যুক্তরাষ্ট্রে চলমান।যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল
ইন্সটিউট অফ হেল্থ-মোডার্না, ইতিমধ্যে mRNA ভিত্তিক এন্টিবডি গ্রো করার চেস্টা করছে
এবং সরকার তাদের ১ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে কাজটি ত্বরান্বিত করার জন্য।জার্মানির বায়োটেক
কোম্পানি, চীনের কোম্পানি ফোসনফার্মা এবং আমেরিকার কোম্পানি পিফিজার সাথে একত্রে
mRNA এর ভিত্তিতে ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাজ করে যাচ্ছে।
ভারতের কোম্পানি
যাইডসি ক্যাডিলা DNA ভিত্তিক ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাজ করে যাচ্ছে জুলাই থেকে।এছাড়াও
বিশ্বের অন্যান্য দেশও কম বেশি কাজ করে যাচ্ছে যাতে করে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি
কার্যকর ভ্যাকসিন বিশ্ব পেতে পারে।নিউইয়ক টাইম্স এর সর্বশেষ রির্পোট অনুযায়ী, বর্তমান
বিশ্বে ৮৯টি ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল পর্যায়ে আছে, ৩৬টি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের
মধ্যে আছে, এবং সীমিত ও দ্রুত প্রয়োগের জন্য
অনুমোদন দেয়া হয়েছে ২টি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডিন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
তো একেবারে মরিয়া হয়ে উঠেছেন, যে কোন মূল্যে তিনি নির্বাচনের পূর্বে এই ভ্যাকসিন তার
চা-ই চাই।এ জন্য অবশ্য তিনি ফান্ডেরও কোন ঘাটতি রাখছেন না।যখন যেখানে যা লাগে দিচ্ছেন
কিন্তু জরুরী ভিত্তিতে তার ভ্যাকসিন চাই।
সুতরাং করোনা
ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্ব নেতারা যতই লম্ফ ঝম্ফ করুক কেন বা রাজনৈতিক ফায়দা যতই নেয়ার চেষ্টা
করুক না কেন, করোনার ভ্যাকসিন এর বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন।কেননা করোনার একটি কার্যকর
ভ্যাকসিন পেতে গেলে অবশ্যই একটি সুনিদিষ্ট প্রক্রিয়া শেষ করেই পেতে হবে।আর তড়িগড়ি করে
যদি রাশিয়া কিংবা চীনের মত চুড়ান্ত প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তার ফলাফল যে কি হতে
পারে, তা প্রয়োগের পরে বোঝা যাবে এবং ট্রাম্পের যে রাজনৈতিক ফায়দা তা-ও আদৌ হাসিল হবে কি না, সেটাও
সময়ই বলে দিবে।
আমার দেখা ভূতের ঘটনা:
ছবি সংগ্রহ:
বিবিসি, বাংলাট্রিবিউন,নিউউয়র্কটাউম্স
No comments