Header Ads

ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে কি কি প্রয়োজন? কি কি কাজ এখানে করা যায়?




আমরা জানি ইন্টারনেট থেকে হাজারো ভাবে অনলাইনে আয় করা যায়। তবে এর মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং অন্যতম এবং নির্ভর যোগ্য । বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের তরুন তরুনীদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি খবই আলোচিত একটি শব্দ। ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে মুক্ত পেশা বা স্বাধীনভাবে কাজ করা। এখানে Freely বা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারে বলেই একে Freelancing বা স্বাধীন পেশা বলা হয়ে থাকে।উইকিপিডিয়ার মতে, ফ্রিল্যান্সাররা স্বনির্ভর এবং এরা কোন প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ দিনের জন্য নিয়োজিত থাকেন না।

ফ্রিল্যান্সিং হচেছ এমন একটি পেশা যেখানে আপনি কাজ করবেন অনলাইনে এবং উক্ত কাজের জন্য আপনাকে অনলেইনেই অর্থ প্রদান করা হবে।এখানে কাজের কোন বাধাঁ ধরা নিয়ম নেই অর্থাৎ আপনাকে একজন সাধারণ চাকুরিজীবির মত সকাল ৯টা থেকে ৫টা কিংবা ১০টা থেকে ৬টা এক টানা  নিয়ম মেনে অফিস করতে হবে না।সে জন্য এখানে কোন নির্দিষ্ট বেতনও নির্ধারিত থাকে না। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সাধারণত কাজের উপর ভিত্তি করে তাদের  আয় নির্ধারিত হয়ে থাকে। 

আরও পড়তে পারেন:


আপনি যদি কাজ বেশি করেন, তাহলে আয় বেশি হবে, আর আপনি যদি কাজ কম করেন, তাহলে আয় কম হবে।এখানে কাজের প্রচুর স্বাধীনতা আছে।সে জন্য এখানে নিজের ইচ্ছে মত আয় করারও সুযোগ আছ।অর্থাৎ আপনি যদি চান বেশি আয় করবেন তাহলে বেশি কাজ করবেন।আবার আপনি যদি চান কম আয় করবেন, তাহলে কম কাজ করবেন।অর্থাৎ সব কিছু নির্ভর করছে আপনার ইচ্ছার ‍উপর।তাই বলা হয়ে থাকে, ফ্রিল্যান্সিং এ আপনার কোন কাজের বস নিই।এখানে আপনার বস আপনি নিজেই।এটিই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যতম প্রধান সুবিধা।

যেহেতু ফ্রিল্যান্সিংএ স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়, তাই এটিকে মুক্ত পেশা্ও বলা হয়ে থাকে। যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার(Freelancer) বলা হয়ে থাকে।এখানে একজন ফ্রিল্যান্সার তার কাজের ব্যাপারে সম্পূর্ণ স্বাধীন অর্থাৎ আপনি কাজটি বসে করবেন নাকি শুয়ে করবেন নাকি দাঁড়িয়ে করবেন এ ব্যাপারে কোন বিধি নিষেধ নেই।এছাড়া আপনি শার্ট প্যান্ট পড়ে করবেন নাকি হাফ প্যান্ট পড়ে করবেন এটারও কোন বাধ্য বাধকতা নেই।অর্থাৎ সম্পূর্ণ স্বাধীন বা মুক্ত একটি পেশা ।সেজন্য ফ্রিল্যান্সিংকে অনেকে ব্যবসাও বলে থাকেন।



ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি প্রয়োজন?
১) একটি  ভাল কনফিগারেশনের ডেস্কটপ বা একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার।
২) উন্নত মানের নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ।
৩) কাজ করার জন্য সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ।
৪) ভাল মানের কাজ জানা এবং কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত সময় সুযোগ থাকা।

স্বাস্থ্য সচেতনতা:


ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়?

আমরা আগেও উল্লেখ করেছি যে, বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং কাজের মার্কেট ভলিউম হলো প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ডলার । যেহেতু বিশাল ভলিউমের একটি বাজার, সুতরাং এখানে কাজের ভলিউম্ও প্রচুর।এখানে আপনি হাজার রকমের কাজ আপনি করতে পারবেন।কাজ করে, স্বাবলম্বী হয়ে নিজের জীবন নিজে গড়তে পারবেন।তখন আপনার জীবন হয়ে উঠবে স্বার্থক ঠিক জীবন থেকে নেয়া গল্পের মত। মোটকথা লেখা লেখি থেকে শুরু করে, এমন কোন কাজ নেই যা এ সেক্টরে করা যায় না।ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রথমেই আপনাকে ভাল মানের একটি মার্কেট প্লেসে একাউন্ট খুলতে হবে।বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে বেশ নাম করা এবং ভাল মানের মার্কেট প্লেস রয়েছে যেমন আপ্ওয়ারর্ক, ফ্রিল্যান্সার, ফাইবার, পিউপুল পার আ্ওয়ার, গুরু, লিংকেডিন, নাইনটি নাইন ডিজাইন ইত্যাদি।

নিম্নে বিশাল এ বাজারের প্রধান প্রধান কিছু কাজ এখানে তুলে ধরা হলো।

  • আর্টিকেল লেখা
  • ব্লগ লেখা
  • সেলস্ এবং মার্কেটিং
  • ডাটা এন্ট্রি, 
  • অ্যাকাউন্টিং এবং বুক কিপিং
  • ভার্চোয়াল এসিসিট্যান্ট,
  • কপিরাইটিং
  • গ্রাপিক্স ডিজাইন,
  • লগো ডিজাইন
  • অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ব্যাক অফিস অ্যাসিস্টেন্স
  • ওয়েব ডিজাইন
  • ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট
  • ওয়েবসাইট মেইনটেইনেন্স
  • কাস্টমার সার্ভিস
  • ডিজাইন ম্যানুফ্যাকচারিং
  • সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন
  • সোসালমিডিয়া মার্কেটিং
 সহ অনেক ধরনের কাজ করা যায়।

রান্নায় আগ্রহী হলে দেখে নিন:


ছবি সংগ্রহ: টেকইনআফ্রিকাডটকম।


3 comments:

  1. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  2. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  3. Greetings!
    Very helpful advice within this article!
    It is the little changes that will make the most significant changes.Such an amazing post.
    Thanks a lot for sharing!
    Dollar buy sell

    ReplyDelete

Powered by Blogger.