Header Ads

সরকারী তিতুমীর কলেজে ফার্স্ট ! ঢাকা কলেজে ৭৭তম !! First in Govt. Titumir College ! 77th in Dhaka College ! !


সরকারী তিতুমীর কলেজে ফার্স্ট ! ঢাকা কলেজে ৭৭তম !


প্রথমেই আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমার জীবন থেকে নেয়া নতুন আরেকটি ভিডিও্তে । আমি আমার জীবন থেকে নেয়া পূর্বের একটি ভিডিওর শিরোনাম করেছিলাম, স্পঞ্চ পায়ে দিয়ে এবং পলিথিনের ব্যাগে ফাইলপত্র নিয়ে ঢাকায় অজানার পথে যাত্রা শুরু।তো সেই দিন, আমি তিনটি কলেজের ভর্তির আবেদনের ফরম কিনি এবং ঢাকা সিটি কলেজের মাসিক বেতন পাঁচশত টাকা হ্ওয়ার কারনে সেই কলেজের ফরম আবার আরেক জন ছাত্রের কাছে বিক্রি করে দেই, যা আপনারা আমার আগের সেই ভিডিওতে দেখেছেন।

তো, সেই দিন ফরম জমা দিয়ে আসার পর, আবার ঢাকায় যাই, আমার কোন কলেজে ভর্তির চান্স পেলাম তা জানার জন্য।দুর্ভাগ্যবশত সব সময়ই আমাকে পলিথিনের ব্যাগেই কাগজ পত্র নিতে হয়েছে, যেহেতু ভাল কোন ব্যাগ আমার ছিল না।আমি ঢাকা কলেজে গিয়ে দেখি, আমাদের ভর্তির আবেদনের রেজাল্ট দিয়েছে । আমি চান্স পেয়েছি এবং আমার পজিশন হয়েছে ৭৭তম।রেজাল্ট পেয়েই আমি অনেক খুশি হই।কারন আমি অনেকের কাছেই শুনে এসেছি, ঢাকা কলেজ হচ্ছে, সে সময়ে বাংলাদেশের মধ্যে সেরা কলেজ এবং ঢাকা কলেজ থেকে প্রতি বছর বহু ছাত্র বোর্ড স্ট্যান্ড করে।

ঢাকা কলেজে চান্স পা্ওয়ার রেজাল্ট পেয়ে আমার আরেক কলেজ, সরকারী ‍তিতুমীরে আমি যে আবেদন করেছি, তার ফলাফলের প্রতি আমার আর তেমন কোন আগ্রহ রইল না।যেহেতু ঢাকা কলেজ অনেক ভাল কলেজ এবং বাংলাদেশের সেরা সেরা ছাত্ররা ঢাকা কলেজে পড়ে, তাই আমার আগে থেকেই স্থির করা ছিল যে, যদি আমি ঢাকা কলেজে চান্স পাই, তাহলে আর অন্য কোথাও ভর্তি হবো না।ফলে তিতুমীর কলিজে আর আমি যাইনি, আমার ভর্তির আবেদনের ফলাফল জানার জন্যে।আজকের শিরোনামের পুরো বিষয়টি আপনারা নিন্মোক্ত ভিডিওতে পাবেন।





আমার বন্ধু দেলোয়ার, আবার সরকারী ‍তিতুমীর কলেজে ভর্তি হবে।ওকে বলে রেখেছিলাম, আমার আবেদনের ফলাফলটি দেখার জনে।তো, আমার বন্ধু দেলোয়ারই আমাকে জানায় যে, আমি সরকারী তিতুমীর কলেজে মানবিক বিভাগে ভর্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে ফার্স্ট হয়েছি।যদিও আমি সেই কলেজে ভর্তি হইনি, তারপরও আমার জন্য সেই ফার্স্ট হওয়ার ঘটনাটিও অনেক বড়।কারন কুঁয়োর ব্যাঙ সাগরে পড়লে যা হয়।

আসলে আমার জীবনে তেমন কোন বড় ঘটনা না থাকাতে সেই ক্ষুদ্র বিষয়টিই আমার জন্য অনেক বড় কিছু মনে হয়। তো, ঢাকা কলেজের ফলাফল পেয়ে নোটিশ বোর্ডে গেলাম।সেখানে যাবতীয় তথ্য পেয়ে বাড়িতে চলে আসি।আমি বলব, সে সময়ে ভাগ্য আমায় ফেবার করেছে।বর্তমানে ঢাকা কলেজের যে,অধ্যক্ষ স্যার, জনাব নেহাল করিম স্যারের মত, কোন স্যার যদি সে সময়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ থাকতেন, তাহলে আমার আর ঢাকা কলেজে পড়া হতো না।

কারন যে নিয়ম কানুন বা বিধি নিষেধ এখন ঢাকা কলেজে চালু আছে, তখন তা থাকলে আমাকে টিসি দিতে বাধ্য হতেন।যাক, সেটি আমার সু-ভাগ্য বলব।কারন, আমি আগেই আমার অন্য আর্টিকেলে এবং অন্য ভিডিওতে উল্লেখ করেছি যে, আমার স্কুল ড্রেস বানানোর মত সক্ষমতা্ও  ছিল না।এমনকি কাফনের কাপড় দিয়ে স্কুল ড্রেস বানিয়েপড়া ছেলেটি বিদ্যালয়ের পূর্বের যাবতীয় রেকর্ড ভেঙ্গে সর্বোচ্চ লেটার, সর্বোচ্চ নম্বরনিয়ে ফার্স্ট নামে একটি লেখা আছে।




শুধু তা-নয়, আমি সেই ছেলে, যার কিনা, ৩২ কি.মি. পায়ে হেঁটে ঢাকায় গিয়ে কুরবানির গরু বিক্রির রেকর্ড  আছে। আসলে আমার জীবনটিই এই রকম।কষ্ট করতে করতে এখন সয়ে গেছে।তাই আমার কাছে কোন কষ্টকে আর কষ্ট মনে হয় না। যা, ইতিমধ্যে আমার এই ব্লগেই অনেক বার প্রমান পেয়েছিন। যেমন-সাড়ে সাত কিমি. পায়ে হেটে এসএসসি পরীক্ষা দেয়া ছেলেটিসমগ্র উপজেলায় ফার্স্ট সে রকম একটি ভিডিও্ নিশ্চয় আপনারা দেখেছেন।না দেখলে, দেখে নেয়ার অনুরোধ করছি।

আপনাকে আমি ধন্যবাদ জানাই, কারন আপনি যে ভাবেই এই ব্লগে এসে থাকুন না কেন, আপনি ভাগ্যবান।কারন এটি এমন একটি ব্লগ যেখানে আপনি যেমন জীবন থেকে নেয়া ঘটনা পাবেন,তেমনি পাবেন মজাদার বিভিন্ন রান্নার রেসিপি যে,যেমন- গরম দুধের নরম কেক রেসিপি, মজাদার দেশীয় স্টাইলে ভেজিটেবলএগ নুডুলস রেসিপি, রেস্টুরেন্ট স্টাইলে তৈরি চিকেন ফ্রাইড রাইস, আলু দিয়ে ঝটপট গরুরমাংস রান্না

আবার আপনি যদি স্বাস্থ সচেতন হন, তাহলে আপনার জন্য আছে নানা রকম স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক বিভিন্ন আর্টিকেল যা আপনাকে সুস্থ্য থাকতে সাহায্য করবে।যেমন- করোনাকালীন সময়ে জরুরী কিছু স্বাস্থ্যটিপস। করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্ব নেতাদের লম্ফ ঝম্ফ, রাজনৈতিক ফায়দা এবং সর্বশেষ আপডেট

শুধু তা-ই, এখানে পাবেন রূপ চর্চ্চা সহ সৌর্ন্দয্য বৃ্দ্ধির টিপস-যেমন: প্রাকৃতিক নিয়মে ত্বক ফর্সাকরার কিছু সিক্রেট ঘরোয়া টিপস।আবার দরিদ্রের কষাঘাতে পড়ে আমাদের স্কুলের ছুটির দিন গুলোতে অন্যের জমিতে দিন মজুরী করতে হতো।তো, এমনই এক ঘটনা- আমার ভাইকে ভূতে ধরে।যা, আমি আমার নিজ চোখে দেখি।যদি ভূতকে বিশ্বাস না করেন, তাহলে আমার দেখা ১০০% সত্য ভূতেরঘটনা টি পড়ে আসুন।

আমি নিজে সৎ থাকি এবং আমি সততাকে উৎসাহিত করি। তা আপনারা আমার প্রতিঠি ভিডিও দেখলেই বুঝতে পারে।, কারন আমি, আমার প্রতিটি ভিডিও শেষেই দুর্নীতি বিরুধি কথা বলি।আমি আমার অবসর সময়টিকে ভাল কাজে ব্যয় করতে চাই। তাই আমি অনলাইনে আয় করার চেষ্টা করি এবং আমি ফিল্যান্সিং করি।

আমার এ সম্পর্কে বেশ ভাল কিছু লেখা আছে,যেমন- ২০২০ সালে অনলাইন আয়ের সহজ পদ্ধতিফ্রিল্যান্সিং কি?ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে কি কি প্রয়োজন? কি কি কাজ এখানে করা যায়? ফ্রিল্যান্সিং কেনএতো আলোচিত? অজানা তথ্য। এই লেখা গুলো আপনাদেরকে অনলাইনে আয় করতে সাহায্য করবে।

আমাদের সম্পর্কে জানতে চাইলে, যোগাযোগ করতে পারবেন।আমি, আমার ব্যক্তিগত ই-মেইলটি আমাদের যোগাযোগ সেকশনে দেয়া আছে।যদি আমার জীবন থেকে নেয়া কোন ঘটনা আপনার অবিশ্বাস্য মনে হয়, তাহলে আপনি সরাসরি আমাকে মেইল সরাসরি মেইল করুন।আমি আপনার প্রশ্নের জবাব দিব।এছাড়া আপনার যদি, আমাদের দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানের সাথে শামিল হতে চান, তাহলে আমাদের ফেস বুক গ্রুপে যোগদান করতে পারেন এবং আমাদের ফেসুবক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকতে পারেন, যা যোগাযোগ সেকশনে দেয়া আছে।

তো, এর পরের সপ্তাহে আবার ঢাকায় গিয়ে ঢাকা কলেজে ভর্তি হই এবং শুরু হয়, আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন যাত্রা। যা আমি সামনের ভিডিও গুলোতে তুলে ধরবো।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন । বরাবরের মতো, দাবি জানাচ্ছি, আসুন নিজে দুর্নীতি মুক্ত থাকি  এবং দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ি।আল্লাহ হাফেজ।

No comments

Powered by Blogger.