Header Ads

তছলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং আমার বিভ্রতকর অবস্থায় পড়া | Movement against Taslima Nasrin and My embarrassment.

আমরা সকলেই জানি, তছলিমা নাসরিন হচ্ছে একজন বিতর্কিত লেখিকা।আর এই বিতর্কিত লেখিকার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়েই মূলত: আমাকে বিভ্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছিল, যখন আমি নবম শ্রেণীতে পড়ি।আমি ছাত্র হিসেবে তেমন ভাল ছিলাম না, তা আমি আমার অনেক লেখাতেই উল্লেখ করেছি।যার মধ্যে একটির শিরোনাম ছিলচতুর্থ শ্রেণীতে ধর্মে ফেল কিন্তু দশম শ্রেণীতে ফার্স্ট বয়! আবার এমনও ঘটনা আমার জীবনে আছে যেকাফনের কাপড় দিয়ে স্কুল ড্রেস বানিয়ে পড়া ছেলেটি বিদ্যালয়েরপূর্বের যাবতীয় রেকর্ড ভেঙ্গে সবোর্চ্চ নম্বর, সবোর্চ্চ লেটার নিয়ে মেট্রিক পাস !

যেহেতু ছাত্র হিসেবে তেমন ভাল ছিলাম না, তাই বিতর্ক প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতা কিংবা রচনা প্রতিযোগিতা সহ অন্য যে কোন কো-কারিকুলাম একটিভিটিসের মাধ্যমে আমার পক্ষে কোন পুরস্কার জেতা সম্ভব নয়। তাই আমার একটি পুরস্কারের প্রতি সকল নজর ছিল।আর তা হলো প্রতি বছর ক্লাশে উপস্থিত থেকে একটি নিয়িমিত পুরস্কার নেয়া এবং এক টানা বছর উপস্থিত থেকে অনন্য রেকর্ড করে৫ বছরের জন্য একটি পুরস্কার জেতা

তাই আমি ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণীতে সারা বছর নিয়মিত থেকে ইতিমধ্যে তিনটি পুরস্কার জিতেছি। কিস্তু নবম শ্রেনীতে এসেই বিপদে পড়ে গেলাম তছলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার কারনে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে।আমি যখন নবম শ্রেণীতে পড়ি, তখন আমার শ্রেনী রোল ছিল ৩।যেহেতু প্রথম, দ্বিতীয় পজিশনের ছাত্ররা রাজি, সেহেতু তৃতীয় পজিশনের ছাত্র হিসেবে আমারও আন্দোলনে অংশগ্রহন করা জরুরী।তাছারা যেহেতু ধর্মীয় ব্যাপার, তাই আন্দোলনে অংশগ্রহন করাটাকে নৈতিক মনে করি।

আমার সাথে সাথে, আমার স্কুল বন্ধু আমিনুল ইসলাম খোকন, সেও অংশগ্রহন করে এবং আমার মতো পরস্থিতিতে পড়ে।আন্দোলনে আমার সফল হয়েই ছিলাম কিন্তু আমাদের বান্দবী এবং নন-মুসলিম ছাত্রদের কারনে আমাদের আন্দোলন ব্যর্থ হয় এবং সকলে ধীরে ধীরে ক্লাশে চলে যায় এবং আমি আর আমার বন্ধু আমিনুল ইসলাম খোকন পড়ে যাই বিপদে।কারন আমাদের বহুল প্রত্যাশিত নবম শ্রেনীর নিয়মিত থাকার পুরস্কার এবং ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত এক টানা পাচঁ বছর নিয়মিত থেকে যে অনন্য রেকর্ডটি করবো, তা- মাঠে মারা যাবে!

তাই, আমরা বেশ চিন্তিত ছিলাম।আমি আমাদের শ্রেনী শিক্ষক নজির স্যারকে অনুরোধ করলাম আমাদের উপস্তিতিটি দেয়ার জন্যে কিন্তু স্যার কোন অবস্থাতেই আমাদের উপস্থিতি দিতে রাজি হলেন না।আমাদেরকে প্রধান শিক্ষকের কাছে যেতে বল্লেন ।তাই আমি এবং আমার বন্ধু আমিনুল ইসলাম খোকন এপ্লিকেশন করে, প্রধান শিক্ষকের নিকট গেলাম এবং হেড স্যার কোন রকম প্রশ্ন না করেই আমাদের আবেদন মন্জুর করে দিলেন এবং আমরা আমাদের চরম বিভ্রতকর অবস্থা থেকে রেহাই পাই। বাকী সব বিষয় আপনারা পাশের প্রদত্ত ভিডিওতে পাবেন।




যাই হোক, পড়ে অবশ্য আমি নবম, দশম শ্রেনীতে নিয়মিত থেকে দুটি পুরস্কার এবং ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনী পযন্ত একটানা পাঁচ বছর নিয়মিত থেকে একটি অনন্য রেকর্ড করতে সক্ষম হয়েছিলাম।ফলে ঢাকা কলেজের হোস্টেল থাকার সময় এই ঘটনাটি জেনে অনেক বন্ধুরাই সে দিন আমাকে দেখতে এসেছিল।এ নিয়ে পরবর্তীতে একটি ভিডিও পাবেন বলে আশা রাখি।

এরকম হাজার খানিক ঘটনা  আপনারা আমার জীবন থেকে নেয়া এই ব্লগে পাবেন ।তাছারা আমার ব্লগে অনলাইনে আয় করা, কম্পিউটার শিক্ষারান্নাবান্নাসহ অসংখ্য বিষয়াদি জানতে পারবেন বলে আমি মনে করি।

আমি নিয়মিতি ভাবে, কিভাবে সহজ পদ্ধতিতে ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে আয় করা যায় তা তুলে ধরব।এতে করে, আপনারা যারা আউটসোর্সিং করতে চান, তারা এখান থেকে শিখে ডলার আয় করতে পারবেন।এছাড়াও এখানে আমার জীবন থেকে নেয়া এমন সব বাস্তব ঘটনা তুলে ধরবো যা আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।তাই চাইলে সহজেই ২০২০ সালে অনলাইন আয়ের পদ্ধতি গুলো জেনে নিতে পারেন। আবার আপনারা ঘরে বসেই, ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কিভাবে করতে হয় তা্ও শিখে আয় করতে পারেন।শিখতে কোন সমস্যা হলে, আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।আমি বা আমরা  আপনাদের সবার্ত্বক সাহায্য করার চেষ্টা করবো।

আমাদের সম্পর্কে জানতে চাইলে বা জনার আগ্রহ থাকলেযোগাযোগ করতে পারবেন সহজেই  আমার ব্যক্তিগত -মেইলটি আমাদের যোগাযোগ সেকশনে দেয়া আছে।যদি আমার জীবন থেকে নেয়া কোন ঘটনা আপনার অবিশ্বাস্য মনে হয়, কিংবা ব্যাপারে আপনাদের কোন জিজ্ঞাসা থাকেতাহলে আপনি বা আপনারা সরাসরি আমাকে মেইল মেইল করতে পারেন।আমি আপনার প্রশ্নের জবাব দিব।


No comments

Powered by Blogger.